Earth / পৃথিবী
আল্লাহ, যিনি সৃষ্টিকর্তা, পৃথিবী এবং মানবজাতির সৃষ্টির মাধ্যমে একটি নিখুঁত পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করেছেন। কুরআনের বিভিন্ন স্থানে আল্লাহর সৃষ্টির প্রজ্ঞা, তাঁর উদ্দেশ্য এবং মানুষের জীবনযাপনের জন্য যে প্রয়োজনীয় উপকরণ তিনি পৃথিবীতে স্থাপন করেছেন, তা উল্লেখ করা হয়েছে। পৃথিবীকে এমনভাবে সৃষ্ট করা হয়েছে যাতে এটি মানুষের জীবনযাপনের জন্য সর্বোত্তম পরিবেশ তৈরি করে এবং একই সাথে তাদের জন্য একটি পরীক্ষার ক্ষেত্র হিসেবে কাজ করে। আল্লাহর এই সৃষ্টিশীল পরিকল্পনা মানবজাতির প্রতিটি চাহিদা এবং সুবিধার কথা বিবেচনা করে করা হয়েছে, যা তাঁর অসীম জ্ঞান, দয়া ও প্রজ্ঞার প্রতিফলন।
আল্লাহ পৃথিবীকে মানবজাতির বসবাসের জন্য একটি স্থিতিশীল এবং নিরাপদ স্থান হিসেবে তৈরি করেছেন। তিনি এখানে এমন উপাদান এবং প্রাকৃতিক সম্পদ সৃষ্টি করেছেন যা মানবজাতির জীবনযাপনের জন্য অপরিহার্য। পৃথিবী ও আকাশের সৃষ্টি, পর্বতমালার স্থাপনা, নদীনালার প্রবাহ এবং সমুদ্রের বিস্তার—সবকিছুই আল্লাহর ইচ্ছা এবং পরিকল্পনার একটি অংশ। এই পৃথিবীতে মানুষকে পরীক্ষা করা হবে, এবং তাদের কাজের পরিপ্রেক্ষিতে তারা পরকালে পুরস্কৃত হবে।
আল্লাহ আকাশ ও পৃথিবীকে মানুষের জীবনের জন্য উপযোগী করে তৈরি করেছেন। আকাশ থেকে পানি বর্ষণ করে তিনি পৃথি বীতে জীবন প্রতিষ্ঠা করেছেন। পৃথিবীর ভূপৃষ্ঠকে এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যাতে তা মানুষের জীবনধারণের জন্য উপযুক্ত হয়।
সূরা ইব্রাহিম (১৪:৩২)
- আল্লাহ, যিনি আসমানসমূহ ও যমীন সৃষ্টি করেছেন। আর তিনি আসমান থেকে বৃষ্টি বর্ষণ করেন ফলে তা দ্বারা ফল-ফলাদি থেকে তোমাদের জন্য রিয্ক উৎপাদন করেন এবং তিনি নৌযানকে তোমাদের জন্য নিয়োজিত করেছেন, যাতে তাঁর আদেশে সমুদ্রে তা চলাচল করে এবং নদীসমূহকে তোমাদের জন্য নিয়োজিত করেছেন। - আল-বায়ান
- তিনিই আল্লাহ যিনি আসমানসমূহ ও যমীন সৃষ্টি করেছেন, তিনি আকাশ হতে পানি বর্ষণ করেন যা দিয়ে নানা প্রকার ফলফলাদি জন্মে তোমাদের জীবিকার জন্য। তিনি নৌযানগুলোকে তোমাদের নিয়ন্ত্রণাধীন করে দিয়েছেন, যাতে সেগুলো তাঁর নির্দেশে সমুদ্রে চলাচল করে আর তিনি নদীগুলোকে তোমাদের অধীন করে দিয়েছেন। - তাইসিরুল
- তিনিই আল্লাহ যিনি আকাশমন্ডলী ও পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন, যিনি আকাশ হতে পানি বর্ষণ করে তদ্বারা তোমাদের জীবিকার জন্য ফল-মূল উৎপাদন করেন, যিনি নৌযানকে তোমাদের অধীন করে দিয়েছেন যাতে তাঁর বিধানে ওটা সমুদ্রে বিচরণ করে এবং যিনি তোমাদের কল্যাণে নিয়োজিত করেছেন নদীসমূহকে। - মুজিবুর রহমান
- It is Allah who created the heavens and the earth and sent down rain from the sky and produced thereby some fruits as provision for you and subjected for you the ships to sail through the sea by His command and subjected for you the rivers. - Sahih International
এই আয়াতে আল্লাহ স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছেন যে, তিনি আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন । আল্লাহ তাঁর অসীম প্রজ্ঞা ও ক্ষমতার মাধ্যমে পৃথিবীকে এমনভাবে সাজিয়েছেন যে, তা মানুষের জীবনযাপনের জন্য উপযুক্ত হয়েছে। আল্লাহ আকাশ থেকে বৃষ্টি বর্ষণ করেন, যা দ্বারা পৃথিবীতে বিভিন্ন ধরনের ফল-ফসল উৎপন্ন হয়, যা মানুষের জীবিকা এবং প্রয়োজনীয় খাদ্য সরবরাহ করে। এই আয়াতটি আমাদেরকে আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে এবং তাঁর অসীম দয়ার কথা স্মরণ করতে উদ্বুদ্ধ করে, কারণ তিনি আমাদের জীবনধারণের জন্য সমস্ত প্রয়োজনীয় উপকরণ প্রস্তুত করেছেন।
সূরা আল-কামার (৫৪:৪৯)
- নিশ্চয় আমি সব কিছু সৃষ্টি করেছি নির্ধারিত পরিমাণ অনুযায়ী। - আল-বায়ান
- আমি সব কিছু সৃষ্টি করেছি নির্ধারিত পরিমাপে। - তাইসিরুল
- আমি সব কিছু সৃষ্টি করেছি নির্ধারিত পরিমাপে। - মুজিবুর রহমান
- Indeed, all things We created with predestination. - Sahih International
আয়াতে আল্লাহ তাঁর সৃষ্টিকর্তা হিসেবে ক্ষমতা এবং প্রজ্ঞার নিখুঁততা প্রকাশ করেছেন। এখানে বলা হয়েছে যে, তিনি সব কিছু নির্ধারিত পরিমাণ অনুযায়ী সৃষ্টি করেছেন। এই আয়াতটি আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় যে, আল্লাহর সৃষ্টি এবং তাঁর পরিকল্পনা সম্পূর্ণ নির্ভুল এবং সুনির্দিষ্ট। পৃথিবীর প্রতিটি জিনিস, ঘটনা, সময়সীমা, এবং প্রক্রিয়া আল্লাহর পূর্বনির্ধারণ অনুযায়ী পরিচালিত হয়। এটি আল্লাহর সার্বভৌমত্ব ও ক্ষমতার প্রমাণ দেয়, যেখানে কোনো কিছুই তাঁর ইচ্ছার বাইরে ঘটে না। এই আয়াতটি আমাদেরকে আল্লাহর প্রজ্ঞা এবং পরিকল্পনার ওপর পূর্ণ আস্থা রাখার শিক্ষা দেয়, এবং এটি বোঝায় যে, আল্লাহর সৃষ্টিতে কোনো ত্রুটি বা অনিশ্চয়তা নেই। সব কিছুই একটি নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য এবং নিয়ম অনুযায়ী ঘটছে, যা আমাদের জীবন ও আখিরাতের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষার উৎস।
পৃথিবীর স্থিতিশীলতার জন্য আল্লাহ পর্বতমালা সৃষ্টি করেছেন, যা পৃথিবীকে স্থিতিশীল করে এবং ভূ-প্রাকৃতিক প্রক্রিয়াগুলি পরিচালনা করে। পৃথিবীর ভূমিকে বিস্তৃত করে তা মানুষের চলাচল এবং বসবাসের উপযোগী করা হয়েছে।
সূরা হিজর (১৫:১৯)
- আর যমীনকে আমি বিস্তৃত করেছি এবং তাতে সুদৃঢ় পাহাড় স্থাপন করেছি। আর তাতে উৎপন্ন করেছি সকল প্রকার বস্তু সুনির্দিষ্ট পরিমাণে । - আল-বায়ান
- আর পৃথিবী, আমি সেটাকে বিছিয়ে দিয়েছি আর তাতে পর্বতরাজি সংস্থাপিত করেছি আর তাতে সকল বস্তু উদগত করেছি যথাযথ পরিমাণে। - তাইসিরুল
- পৃথিবীকে আমি বিস্তৃত করেছি এবং ওতে পর্বতমালা স্থাপন করেছি; আমি ওতে প্রত্যেক বস্তু উৎপন্ন করেছি সুপরিমিতভাবে। - মুজিবুর রহমান
- And the earth - We have spread it and cast therein firmly set mountains and caused to grow therein [something] of every well-balanced thing. - Sahih International
আয়াতে আল্লাহ তাআলা পৃথিবীর বিস্তৃতি, পাহাড়ের স্থাপন, এবং বস্তুসমূহের নির্দিষ্ট পরিমাণ বর্ণনা করেছেন। আল্লাহ পৃথিবীর পৃষ্ঠকে প্রশস্তভাবে বিস্তৃত করেছেন, যা মানবজাতির জন্য উপযুক্ত ও বসবাসের জন্য অনুকূল। তিনি সুদৃঢ় পাহাড় স্থাপন করেছেন, যা পৃথিবীর স্থিতিশীলতা বজায় রাখে এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে সুরক্ষা প্রদান করে। এছাড়া, আল্লাহ পৃথিবীতে প্রতিটি প্রকার বস্তু সুনির্দিষ্ট পরিমাণে সৃষ্টি করেছেন, যা মানব জীবনের প্রয়োজন পূরণ এবং প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষায় সহায়তা করে। এই আয়াতটি আল্লাহর সৃষ্টির নিখুঁত পরিকল্পনা ও প্রজ্ঞার প্রতিফলন, যা আমাদের আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে এবং তাঁর অসীম জ্ঞান ও ক্ষমতার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে উদ্বুদ্ধ করে।
আল্লাহ পৃথিবীকে এমনভাবে তৈরি করেছেন যাতে মানুষ সহজেই তাদের জীবনধারণের জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ পেতে পারে। খাদ্য, পানি, এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় সম্পদগুলো পৃথিবীতে প্রস্ তুত করা হয়েছে, যা মানুষের জীবনের জন্য অপরিহার্য।
সূরা নাহল (১৬:১৪)
- আর তিনিই সে সত্তা, যিনি সমুদ্রকে নিয়োজিত করেছেন, যাতে তোমরা তা থেকে তাজা (মাছের) গোশ্ত খেতে পার এবং তা থেকে বের করতে পার অলংকারাদি, যা তোমরা পরিধান কর। আর তুমি তাতে নৌযান দেখবে তা পানি চিরে চলছে এবং যাতে তোমরা তার অনুগ্রহ অন্বেষণ করতে পার এবং যাতে তোমরা শুকরিয়া আদায় কর। - আল-বায়ান
- তিনিই সমুদ্রকে কল্যাণে নিয়োজিত রেখেছেন যাতে তোমরা তাত্থেকে তাজা গোশত খেতে পার, আর তাত্থেকে তোমরা রত্নরাজি সংগ্রহ করতে পার যা তোমরা অলংকার হিসেবে পরিধান কর। আর নৌযানগুলোকে তোমরা দেখতে পাও ঢেউয়ের বুক চিরে তাতে চলাচল করে, যাতে তোমরা তাঁর অনুগ্রহ তালাশ করতে পার আর শোকর আদায় করতে পার। - তাইসিরুল
- তিনিই সমুদ্রকে অধীন করেছেন যাতে তোমরা তা হতে তাজা গোশত আহার করতে পার এবং যাতে তা হতে আহরণ করতে পার রত্না বলী যা তোমরা ভূষণ রূপে পরিধান কর; এবং তোমরা দেখতে পাও, ওর বুক চিরে নৌযান চলাচল করে এবং তা এ জন্য যে, তোমরা যেন তাঁর অনুগ্রহ সন্ধান করতে পার এবং তোমরা যেন কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর। - মুজিবুর রহমান
- And it is He who subjected the sea for you to eat from it tender meat and to extract from it ornaments which you wear. And you see the ships plowing through it, and [He subjected it] that you may seek of His bounty; and perhaps you will be grateful. - Sahih International
আয়াতে আল্লাহ তাআলা সমুদ্রের বিভিন্ন উপকা0রিতা এবং তাঁর অনুগ্রহের কথা উল্লেখ করেছেন। আল্লাহ সমুদ্রকে এমনভাবে সৃষ্টি করেছেন যে, তার মাধ্যমে মানুষ তাজা মাছ উপভোগ করতে পারে, যা খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এছাড়া, সমুদ্র থেকে মুক্তা ও অন্যান্য মূল্যবান বস্তু পাওয়া যায়, যা অলংকার হিসেবে ব্যবহৃত হয় এবং মানুষের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে। সমুদ্রের উপর দিয়ে চলমান নৌযানগুলো পরিবহণ ও বাণিজ্য সহজ করে, যা মানুষের জীবনের এক গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এই আয়াতে আল্লাহ সমুদ্রের মাধ্যমে তাঁর অনুগ্রহ ও নেয়ামতের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন এবং মানুষকে তাঁর দানের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করার আহ্বান জানিয়েছেন। আল্লাহর এই সৃষ্টির মাধ্যমে আমরা তাঁর মহানত্ব ও দয়ার প্রমাণ দেখতে পাই এবং আমাদের উচিত এই সব নেয়ামতের জন্য আল্লাহকে ধন্যবাদ জানানো।
আল্লাহ পৃথিবীকে এমনভাবে তৈরি করেছেন যেখানে মানুষ কাজ করতে পারবে, জীবিকা নির্বাহ করতে পারবে, এবং তাঁর প্রাপ্য দয়া ও করুণা অর্জন করতে 000000পারবে। পৃথিবী মানুষের জন্য কর্মক্ষেত্র হিসেবে কাজ করে, যেখানে তারা আল্লাহর ইবাদাত করতে এবং ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করতে পারে।
সূরা আল-মুলক (৬৭:১৫)
- তিনিই তো তোমাদের জন্য যমীনকে সুগম করে দিয়েছেন, কাজেই তোমরা এর পথে-প্রান্তরে বিচরণ কর এবং তাঁর রিয্ক থেকে তোমরা আহার কর। আর তাঁর নিকটই পুনরুত্থান। - আল-বায়ান
- তিনি তোমাদের জন্য যমীনকে (তোমাদের ইচ্ছার) অধীন করে দিয়েছেন, কাজেই তোমরা তার বুকের উপর দিয়ে চলাচল কর, আর আল্লাহর দেয়া রিযক হতে আহার কর, পুনরায় জীবিত হয়ে তাঁর কাছেই যেতে হবে। - তাইসিরুল
- তিনিইতো তোমাদের জন্য ভূমিকে সুগম করে দিয়েছেন; অতএব তোমরা দিক-দিগন্তে বিচরণ কর এবং তাঁর প্রদত্ত জীবনোপকরণ হতে আহার্য গ্রহণ কর; পুনরুত্থানতো তাঁরই নিকট। - মুজিবুর রহমান
- It is He who made the earth tame for you - so walk among its slopes and eat of His provision - and to Him is the resurrection. - Sahih International
আয়াতে আল্লাহ তাআলা পৃথিবীকে মানুষের জন্য নিয়ন্ত্রণযোগ্য করে দিয়েছেন। তিনি আমাদের পৃথিবীর উপর চলাচল করার এবং এর বিভিন্ন সম্পদ ব্যবহার করার সুযোগ দিয়েছেন, যা আমাদের খাদ্য ও রিযক সরবরাহ করে। এই আয়াতে আল্লাহর নেয়ামতের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশের গুরুত্ব তুলে ধরা হয়েছে। পাশাপাশি, এই আয়াত স্মরণ করিয়ে দেয় যে, পৃথিবীর জীবন একসময় শেষ হবে এবং সবাইকে আল্লাহর কাছে ফিরে যেতে হবে। এই আয়াত আমাদেরকে পৃথিবীর সম্পদ সঠিকভাবে ব্যবহার করার এবং মৃত্যুর পরের জীবনের জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার প্রতি সচেতন করে, পাশাপাশি আল্লাহর নেয়ামতের প্রতি কৃতজ্ঞ থাকা ও তাঁর কাছে ফিরে যাওয়ার প্রস্তুতির গুরুত্ব বোঝায়।
আল্লাহর সৃষ্টিকর্মের মধ্যে আকাশ ও পৃথিবী মানুষের জন্য নিদর্শনস্বরূপ । আকাশের উন্নত সৃষ্টি, পৃথিবীর বিস্তার, পর্বতমালার স্থাপনা—সবকিছুই আল্লাহর প্রজ্ঞা, শক্তি এবং মহিমার সাক্ষ্য বহন করে।
সূরা আল-গাশিয়াহ (৮৮:১৭-২০)
- তবে কি তারা উটের প্রতি দৃষ্টিপাত করে না, কীভাবে তা সৃষ্টি করা হয়েছে? আর আকাশের দিকে, কীভাবে তা ঊর্ধ্বে স্থাপন করা হয়েছে? আর পর্বতমালার দিকে, কীভাবে তা স্থাপন করা হয়েছে? - আল-বায়ান
- (ক্বিয়ামত হবে একথা যারা অমান্য করে) তারা কি উটের প্রতি লক্ষ্য করে না, (সৃষ্টি কুশলতায় ভরপুর ক’রে) কী ভাবে তা সৃষ্টি করা হয়েছে? এবং আসমানের দিকে, কীভাবে তা ঊর্ধ্বে উঠানো হয়েছে? এবং পর্বতমালার দিকে, কী রকম দৃঢ়ভাবে তাকে প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে? - তাইসিরুল
- তাহলে কি তারা উষ্ট্র পালের দিকে লক্ষ্য করেনা যে, কিভাবে ওকে সৃষ্টি করা হয়েছে? এবং আকাশের দিকে যে, কিভাবে ওটাকে সমুচ্চ করা হয়েছে? এবং পর্বতমালার দিকে যে, কিভাবে ওটা দৃঢ়ভাবে স্থা পন করা হয়েছে? - মুজিবুর রহমান
- Then do they not look at the camels - how they are created? And at the sky - how it is raised? And at the mountains - how they are erected? - Sahih International
আয়াতে আল্লাহ তাআলা মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন পৃথিবীর চারটি উল্লেখযোগ্য সৃষ্টির দিকে। তিনি উটের সৃষ্টির দিকে ইঙ্গিত করেছেন, যা তার মজবুত গঠন ও মরুভূমিতে টিকে থাকার অনন্য ক্ষমতার প্রতীক। এরপর, আল্লাহ আকাশের বিস্তৃতি ও সৌন্দর্যের দিকে ইঙ্গিত করেছেন, যা তার গভীরতা ও জটিলতার প্রমাণ। পর্বতমালার স্থাপন এবং পৃথিবীর বিস্তারের প্রতি আল্লাহর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে, যা পৃথিবীর ভূতাত্ত্বিক ভারসাম্য এবং জীবনের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করে। এই আয়াতগুলি আল্লাহর সৃষ্টির নিখুঁত পরিকল্পনা ও শক্তির প্রতিফলন, যা আমাদেরকে তাঁর অসীম ক্ষমতা ও জ্ঞানের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতে এবং প্রকৃতির এসব বিস্ময়কর উপাদানের মাধ্যমে আল্লাহর সৃষ্টির প্রশংসা করতে উদ্বুদ্ধ করে।