Family Relation ( পারিবারিক সম্পর্ক )
| আমরা সবসময় মনে রাখি | We Always Remember |
-
যখন একজন মানুষ মারা যায়, তার সব কাজ শেষ হয়ে যায় , তিনটি ব্যতিক্রম ছাড়া: সদকা জারিয়া (চলমান দান) , এমন জ্ঞান যা থেকে উপকার পাওয়া যায়, এবং একটি সৎ সন্তান যে তার জন্য দোয়া করে । | মুহাম্মদ (সাঃ) ; হাদিস - সহিহ মুসলিম | When a person dies, his works end, except for three: ongoing charity, knowledge that is benefited from, and a righteous child who prays for him. | Prophet Mohammed (PBUH); Hadith - Sahih Muslim |
-
যে ব্যক্তি ভাল কাজের জন্য সুপারিশ করবে, তার জন্য তাতে (সাওয়াবের) অংশ আছে এবং যে মন্দ কাজের জন্য সুপারিশ করবে, তার জন্য তাতে অংশ আছে । আর আল্লাহ সব কিছুর উপর নজর রাখেন । | সূরাঃ ৪ , আন-নিসা , আয়াতঃ : ৮৫ | Whoever intercedes for a good cause will have a reward therefrom; and whoever intercedes for an evil cause will have a burden therefrom. And ever is Allah, over all things, a Keeper. | Surah 4 , An-Nisa , Verse: 85 |
পরিবার মানব জীবনের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি। এটি শুধু একটি সামাজিক কাঠামো নয়, বরং একটি পবিত্র সম্পর্কের জাল, যা ব্যক্তির চরিত্র ও আচরণের ভিত্তি গড়ে তোলে। কুরআন শরীফে পরিবার সম্পর্কিত আদর্শ ও নির্দেশনা প্রেরিত হয়েছে, যা মুমিনদের পারস্পরিক সম্পর্ক ও দায়িত্ ব পালনে পথনির্দেশ করে। কুরআনে পিতামাতা, স্বামী-স্ত্রী, এবং আত্মীয়স্বজনদের সঙ্গে কিভাবে আচরণ করতে হবে তা স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। পরিবারে শান্তি ও সুখ প্রতিষ্ঠার জন্য কুরআনের দেয়া নির্দেশনাগুলো আমাদের দৈনন্দিন জীবনে বাস্তবায়িত করতে হবে।
Related veses in Quran:
Source of translation : www.quran.com ; www.hadithbd.com ; www.banglatafheem.com
In the name of Allah, the Most Gracious, the Most Merciful
আল্লাহর নামে, যিনি পরম করুণাময়, পরম দয়ালু
সূরা আল-ইসরা (১৭:২৩):
- আর তোমার রব আদেশ দিয়েছেন যে, তোমরা তাঁকে ছাড়া অন্য কারো ইবাদাত করবে না এবং পিতা-মাতার সাথে সদাচরণ করবে। তাদের একজন অথবা উভয়েই যদি তোমার নিকট বার্ধক্যে উপনীত হয়, তবে তাদেরকে ‘উফ’ বলো না এবং তাদেরকে ধমক দিও না। আর তাদের সাথে সম্মানজনক কথা বল।
- তো মার প্রতিপালক হুকুম জারি করেছেন যে, তিনি ছাড়া অন্য কারো ‘ইবাদাত করো না, আর পিতা-মাতার সঙ্গে সদ্ব্যবহার করো। তাদের একজন বা তাদের উভয়ে যদি তোমার জীবদ্দশায় বার্ধক্যে উপনীত হয়, তবে তাদেরকে বিরক্তি বা অবজ্ঞাসূচক কথা বলো না, আর তাদেরকে ভৎর্সনা করো না। তাদের সাথে সম্মানজনক কথা বল।
- তোমার রাব্ব নির্দেশ দিয়েছেন যে, তোমরা তিনি ছাড়া অন্য কারও ইবাদাত করবেনা এবং মাতা-পিতার প্রতি সদ্ব্যবহার করবে; তাদের একজন অথবা উভয়ে তোমার জীবদ্দশায় বার্ধক্যে উপনীত হলে তাদেরকে বিরক্তিসূচক কিছু বলনা এবং তাদেরকে ভৎর্সনা করনা; তাদের সাথে কথা বল সম্মানসূচক নম্রভাবে।
- And your Lord has decreed that you not worship except Him, and to parents, good treatment. Whether one or both of them reach old age [while] with you, say not to them [so much as], "uff," and do not repel them but speak to them a noble word.
এই আয়াতে আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে নির্দেশ দিয়েছেন যে, আল্লাহ ছাড়া অন্য কোনো সত্তার ইবাদাত করা ইসলামের মৌলিক বিশ্বাসের বিপরীত। পাশাপাশি, পিতামাতার প্রতি সদাচরণের গুরুত্বও স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। যখন পিতামাতা বার্ধক্যে পৌঁছে যান, তখন তাদের প্রতি কোনো প্রকার অবহেলা বা ধমক দেওয়া যাবে না। বরং, তাদের সাথে সদয় এবং সম্মানজনক ভাষায় কথা বলা উচিত। এই নির্দেশনাগুলি পিতামাতার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা প্রদর্শনের একটি উপায় হিসেবে বিবেচিত হয়। আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে পিতামাতার প্রতি সেবা ও সম্মান প্রদর্শনের মাধ্যমে পারিবারিক সম্পর্কগুলো সুষ্ঠু ও মানবিকভাবে পরিচালনার জন্য উৎসাহিত করছেন।
সূরা আল-বাকারা (২:১৮৭):
-
সিয়ামের রাতে তোমাদের জন্য তোমাদের স্ত্রীদের নিকট গমন হালাল করা হয়েছে। তারা তোমাদের জন্য পরিচ্ছদ এবং তোমরা তাদের জন্য পরিচ্ছদ। আল্লাহ জেনেছেন যে, তোমরা নিজদের সাথে খিয়ানত করছিলে। অতঃপর তিনি তোমাদের তাওবা কবূল করেছেন এবং তোমাদেরকে ক্ষমা করেছেন। অতএব, এখন তোমরা তাদের সাথে মিলিত হও এবং আল্লাহ তোমাদের জন্য যা লিখে দিয়েছেন, তা অনুসন্ধান কর। আর আহার কর ও পান কর যতক্ষণ না ফজরের সাদা রেখা কাল রেখা থেকে স্পষ্ট হয়। অতঃপর রাত পর্যন্ত সিয়াম পূর্ণ কর। আর তোমরা মাসজিদে ইতিকাফরত অবস্থায় স্ত্রীদের সাথে মিলিত হয়ো না। এটা আল্লাহর সীমারেখা, সুতরাং তোমরা তার নিকটবর্তী হয়ো না। এভাবেই আল্লাহ তাঁর আয়াতসমূহ মানুষের জন্য স্পষ্ট করেন যাতে তারা তাকওয়া অবলম্বন করে। - আল-বায়ান
-
তোমাদের জন্য রমাযানের রাতে তোমাদের বিবিগণের নিকট গমন করা জায়িয করা হয়েছে, তারা তোমাদের আচ্ছাদন আর তোমরা তাদের আচ্ছাদন। আল্লাহ জানতেন যে, তোমরা নিজেদের সঙ্গে প্রতারণা করছিলে। সুতরাং তিনি তোমাদেরকে ক্ষমা করলেন এবং তোমাদের অব্যাহতি দিলেন। অতএব, এখন থেকে তোমরা তাদের সঙ্গে সহবাস করতে পার এবং আল্লাহ তোমাদের জন্য যা কিছু বিধিবদ্ধ করেছেন তা লাভ কর এবং তোমরা আহার ও পান করতে থাক যে পর্যন্ত তোমাদের জন্য কালো রেখা হতে ঊষাকালের সাদা রেখা প্রকাশ না পায়। তৎপর রাতের আগমন পর্যন্ত রোযা পূর্ণ কর, আর মাসজিদে ই’তিকাফ অবস্থায় তাদের সাথে সহবাস করো না। এসব আল্লাহর আইন, কাজেই এগুলোর নিকটবর্তী হয়ো না। আল্লাহ মানবজাতির জন্য নিজের আয়াতসমূহ বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করেন, যাতে তারা মুত্তাকী হতে পারে। - তাইসিরুল
-
রামাযানের রাতে আপন স্ত্রীদের সাথে মেলামেশা করা তোমাদের জন্য বৈধ করা হয়েছে,তারা তোমাদের জন্য এবং তোমরা তাদের জন্য আবরণ, তোমরা যে নিজেদের ক্ষতি করছিলে আল্লাহ তা জ্ঞাত আছেন, এ জন্য তিনি তোমাদের প্রতি প্রত্যাবৃত্ত হলেন এবং তোমাদের (ভার) লাঘব করে দিলেন; অতএব এক্ষণে তোমরা (রামাযানের রাতেও) তাদের সাথে মিলিত হও এবং আল্লাহ তোমাদের জন্য যা লিপিবদ্ধ করেছেন তা অনুসন্ধান কর এবং প্রত্যুষে কালো সূতা হতে সাদা সূতা প্রকাশিত না হওয়া পর্যন্ত তোমরা আহার ও পান কর, অতঃপর রাত সমাগম পর্যন্ত তোমরা সিয়াম পূর্ণ কর; তোমরা মাসজিদে ই‘তিকাফ করার সময় (তোমাদের স্ত্রীদের সাথে) মিলিত হবেনা; এটিই আল্লাহর সীমা। অতএব তোমরা উহার নিকটেও যাবেনা; এভাবে আল্লাহ মানবমন্ডলীর জন্য তাঁর নিদর্শনসমূহ বিবৃত করেন, যেন তারা সংযত হয়। - মুজিবুর রহমান
-
It has been made permissible for you the night preceding fasting to go to your wives [for sexual relations]. They are clothing for you and you are clothing for them. Allah knows that you used to deceive yourselves, so He accepted your repentance and forgave you. So now, have relations with them and seek that which Allah has decreed for you. And eat and drink until the white thread of dawn becomes distinct to you from the black thread [of night]. Then complete the fast until the sunset. And do not have relations with them as long as you are staying for worship in the mosques. These are the limits [set by] Allah, so do not approach them. Thus does Allah make clear His ordinances to the people that they may become righteous.
এই আয়াতে আল্লাহ তাআলা স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের প্রকৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক তুলে ধরেছেন। এখানে "পোশাক" শব্দটি ব্যবহার করে বোঝানো হয়েছে যে, স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে সম্পর্ক যেমন একটি পোশাক শরীরকে সুরক্ষা দেয় এবং সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে, তেমনি স্বামী ও স্ত্রীর সম্পর্ক একে অপরের জীবনে নিরাপত্তা, সমর্থন এবং ভালোবাসার প্রদান করে। পোশাক আমাদের শরীরকে আবৃত করে এবং রক্ষা করে, সেরকমভাবে স্বামী-স্ত্রী একে অপরকে মানসিক ও শারীরিকভাবে সুরক্ষা দেন এবং সুখের সহায়ক হন। এই সম্পর্কটি পারস্পরিক সহানুভূতি, সুরক্ষা এবং সহানুভূতির ভিত্তিতে গড়ে ওঠে, যা একটি সুস্থ ও সুখী দাম্পত্য জীবনের জন্য অপরিহার্য। আল্লাহ তাআলা এই আয়াতে স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের আন্তরিকতা এবং সহমর্মিতার গুরুত্ব স্পষ্ট করেছেন, যা দাম্পত্য জীবনে শান্তি এবং সমঝোতা নিশ্চিত করে।
সূরা আন-নিসা (৪:১):
- হে মানুষ, তোমরা তোমাদের রবকে ভয় কর, যিনি তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন এক নফ্স থেকে। আর তা থেকে সৃষ্টি করেছেন তার স্ত্রীকে এবং তাদের থেকে ছড়িয়ে দিয়েছেন বহু পুরুষ ও নারী। আর তোমরা আল্লাহকে ভয় কর, যার মাধ্যমে তোমরা একে অপরের কাছে চেয়ে থাক। আর ভয় কর রক্ত-সম্পর্কিত আত্মীয়ের ব্যাপারে। নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদের উপর পর্যবেক্ষক। - আল-বায়ান
- হে মনুষ্য সমাজ! তোমরা তোমাদের প্রতিপালককে ভয় কর, যিনি তোমাদেরকে একটি মাত্র ব্যক্তি হতে পয়দা করেছেন এবং তা হতে তার জোড়া সৃষ্টি করেছেন, অতঃপর সেই দু’জন হতে বহু নর-নারী ছড়িয়ে দিয়েছেন এবং তোমরা আল্লাহকে ভয় কর, যাঁর নামে তোমরা পরস্পর পরস্পরের নিকট (হাক্ব) চেয়ে থাক এবং সতর্ক থাক জ্ঞাতি-বন্ধন সম্পর্কে, নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদের উপর তীক্ষ্ণ দৃষ্টি রাখেন। - তাইসিরুল
- হে মানবমন্ডলী! তোমরা তোমাদের রাব্বকে ভয় কর, যিনি তোমাদেরকে একই ব্যক্তি হতে সৃষ্টি করেছেন এবং তা হতে তদীয় সহধর্মিনী সৃষ্টি করেছেন এবং তাদের উভয় হতে বহু নর ও নারী ছড়িয়ে দিয়েছেন এবং সেই আল্লাহকে ভয় কর যাঁর নামের দোহাই দিয়ে তোমরা একে অপরকে যাঞ্চা কর, এবং আত্মীয়-জ্ঞাতিদের ব্যাপারে সতর্কতা অবলম্বন কর। নিশ্চয়ই আল্লাহই তত্ত্বাবধানকারী। মুজিবুর রহমান
- O mankind, fear your Lord, who created you from one soul and created from it its mate and dispersed from both of them many men and women. And fear Allah, through whom you ask one another, and the wombs. Indeed Allah is ever, over you, an Observer.
এই আয়াতে আল্লাহ তাআলা মানবজাতিকে তাঁর সৃষ্টির প্রতি সচেতন থাকার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন যে, পুরো মানব জাতি একক প্রাথমিক সত্তা (নফ্স) থেকে সৃষ্টি হয়েছে, যা আদম (আ.) এবং তাঁর স্ত্রী হাওয়া (আ.) এর মাধ্যমে প্রসারিত হয়েছে। এর মাধ্যমে আল্লাহ মানব জাতির মধ্যে সম্পর্কের গভীরতা এবং পারস্পরিক সম্পর্কের গুরুত্ব তুলে ধরেছেন। এছাড়াও, এই আয়াতে আল্লাহ তাআলা পিতামাতার প্রতি শ্রদ্ধা এবং সম্মানের গুরুত্ব উল্লেখ করেছেন, কারণ তারা মানব জীবনের মূল ভিত্তি। আল্লাহকে ভয় করা এবং তাঁর আদেশ মেনে চলার মাধ্যমে আমাদের পারস্পরিক সম্পর্কগুলো সঠিকভাবে পরিচালিত হয়। বিশেষভাবে, রক্ত-সম্পর্কিত আত্মীয়দের প্রতি সতর্ক থাকা এবং তাদের প্রতি সঠিক আচরণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আল্লাহ তাআলা আমাদের সমস্ত কাজ পর্যবেক্ষণ করেন এবং তাঁর নির্দেশনা অনুসরণ করা উচিত। এই আয়াতটি আমাদের পরিবার এবং সম্পর্কের প্রতি ন্যায়, সৌজন্য এবং সম্মানের গুরুত্ব বোঝায়, যা আমাদের দায়িত্বশীল এবং মানবিক আচরণের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।
Surah 9 | At-Tawba| আত-তাওবা | Verse: 113 - 114
- নবী ও মুমিনদের জন্য উচিত নয় যে, তারা মুশরিকদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করবে। যদিও তারা আত্মীয় হয়। তাদের নিকট এটা স্পষ্ট হয়ে যাওয়ার পর যে, নিশ্চয় তারা প্রজ্বলিত আগুনের অধিবাসী।
- নিজ পিতার জন্য ইবরাহীমের ক্ষমা প্রার্থনা তো ছিল একটি ওয়াদার কারণে, যে ওয়াদা সে তাকে দিয়েছিল। তারপর যখন এটা তার কাছে সুস্পষ্ট হল যে, সে (পিতা) আল্লাহর শক্র তখন ইবরাহীম তার সম্পর্ক ছিন্ন করলেন। বাস্তবিকই ইব্রাহীম ছিল অতিশয় কোমল হৃদয়, সহনশীল।
- It is not for the Prophet and those who have believed to ask forgiveness for the polytheists, even if they were relatives, after it has become clear to them that they are companions of Hellfire.
-
- And the request of forgiveness of Abraham for his father was only because of a promise he had made to him. But when it became apparent to Abraham that his father was an enemy to Allah, he disassociated himself from him. Indeed was Abraham compassionate and patient.
Surah 20 | Ta-Ha | ত্ব-হা | Verse: 130 - 132
- কাজেই তারা যা বলে, সে বিষয়ে আপনি ধৈর্য ধারণ করুন এবং সূর্যোদয়ের আগে ও সূর্যাস্তের আগে আপনার রব-এর সপ্ৰশংস পবিত্ৰতা ও মহিমা ঘোষণা করুন এবং রাতে পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করুন, এবং দিনের প্রান্তসমূহেও , যাতে আপনি সন্তুষ্ট হতে পারেন ।
- আর আপনি, [হে মুহাম্মাদ], আপনার দু'চোখ কখনো প্রসারিত করবেন না সে সবের প্রতি, যা আমরা বিভিন্ন শ্রেণীকে দুনিয়ার জীবনের সৌন্দর্যস্বরূপ উপভগের উপকরণ হিসেবে দিয়েছি, তা দ্বারা তাদেরকে পরীক্ষা করার জন্য। আর আপনার রব-এর দেয়া রিযিকই সর্বোৎকৃষ্ট ও অধিক স্থায়ী।
- আর আপনার পরিবারবর্গকে সালাতের আদেশ দিন ও তাতে অবিচল থাকুন, আমরা আপনার কাছে কোন রিযিক চাই না; আমরাই আপনাকে রিযিক দেই । আর শুভ পরিণাম তো তাকওয়াতেই নিহিত ।
- So be patient over what they say and exalt [Allah] with praise of your Lord before the rising of the sun and before its setting; and during periods of the night [exalt Him] and at the ends of the day, that you may be satisfied.
- And do not extend your, [O Muhammad], eyes toward that by which We have given enjoyment to [some] categories of them, [its being but] the splendor of worldly life by which We test them. And the provision of your Lord is better and more enduring.
- And enjoin prayer upon your family [and people] and be steadfast therein. We ask you not for provision; We provide for you, and the [best] outcome is for [those of] righteousness.
Surah 42 | Ash-Shura | আশ-শূরা | Verse: 44 - 47
- আল্লাহ কাউকেও পথভ্রষ্ট করলে তার জন্য তিনি ব্যতীত কোন অভিভাবক নেই । আর সীমালংঘনকারীরা যখন শাস্তি প্রত্যক্ষ করবে , তখন আপনি তাদেরকে বলতে শুনবেন, ফিরে যাওয়ার কোন উপায় আছে কি ?
- আর আপনি তাদেরকে দেখতে পাবেন যে, তাদেরকে (জাহান্নামের সামনে) উপস্থিত করা হচ্ছে, লাঞ্ছিত ও অপমানিত অবস্থায় ; তারা অপমানে অবনত অবস্থায় আড় চোখে তাকাচ্ছে । আর যারা ঈমান এনেছে তারা বলবে , সত্যিকার ক্ষতিগ্রস্ত তো তারাই যারা ক্বিয়ামতের দিনে নিজেদেরকে এবং নিজেদের পরিবার-পরিজনকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে । জেনে রেখো , সীমালংঘনকারীরা অবশ্যই স্থায়ী শাস্তি ভোগ করবে ।
- আল্লাহর শাস্তির বিরুদ্ধে তাদেরকে সাহায্য করার জন্য তাদের কোন অভিভাবক থাকবে না । আর আল্লাহ যাকে পথভ্রষ্ট করেন তার কোন পথ নেই ।
- তোমরা তোমাদের রবের ডাকে সাড়া দাও আল্লাহর পক্ষ থেকে সে দিন আসার আগে, যা অপ্রতিরোধ্য; যেদিন তোমাদের কোন আশ্রয়স্থল থাকবে না , আর না (তোমাদের পাপ) অস্বীকার করার সুযোগ থাকবে ।
- And he whom Allah sends astray - for him there is no protector beyond Him. And you will see the wrongdoers, when they see the punishment, saying, "Is there for return [to the former world] any way?"
- And you will see them being exposed to the Fire, humbled from humiliation, looking from [behind] a covert glance. And those who had believed will say, "Indeed, the [true] losers are the ones who lost themselves and their families on the Day of Resurrection. Unquestionably, the wrongdoers are in an enduring punishment.
-
- And there will not be for them any allies to aid them other than Allah. And whoever Allah sends astray - for him there is no way.
- Respond to your Lord before a Day comes from Allah of which there is no repelling. No refuge will you have that day, nor for you will there be any denial.
Surah 66 | At-Tahrim | আত-তাহরীম | Verse: 6
- হে ঈমানদারগণ, তোমরা নিজেদেরকে ও তোমাদের পরিবার-পরিজনকে আগুন হতে বাঁচাও যার জ্বালানি হবে মানুষ ও পাথর ; যেখানে রয়েছে নির্মম ও কঠোর ফেরেশতাকূল , আল্লাহ তাদেরকে যে নির্দেশ দিয়েছেন তার া সে ব্যাপারে তার অবাধ্য হয় না । আর তারা তা-ই করে যা তাদেরকে আদেশ করা হয় ।
- O you who have believed, protect yourselves and your families from a Fire whose fuel is people and stones, over which are [appointed] angels, harsh and severe; they do not disobey Allah in what He commands them but do what they are commanded.
continue.....