Skip to main content

Husband Wife / স্বামী-স্ত্রী


| আমরা সবসময় মনে রাখি | We Always Remember |

  • যখন একজন মানুষ মারা যায়, তার সব কাজ শেষ হয়ে যায় , তিনটি ব্যতিক্রম ছাড়া: সদকা জারিয়া (চলমান দান) , এমন জ্ঞান যা থেকে উপকার পাওয়া যায়, এবং একটি সৎ সন্তান যে তার জন্য দোয়া করে । | মুহাম্মদ (সাঃ) ; হাদিস - সহিহ মুসলিম | When a person dies, his works end, except for three: ongoing charity, knowledge that is benefited from, and a righteous child who prays for him. | Prophet Mohammed (PBUH); Hadith - Sahih Muslim |

  • যে ব্যক্তি ভাল কাজের জন্য সুপারিশ করবে, তার জন্য তাতে (সাওয়াবের) অংশ আছে এবং যে মন্দ কাজের জন্য সুপারিশ করবে, তার জন্য তাতে অংশ আছে । আর আল্লাহ সব কিছুর উপর নজর রাখেন । | সূরাঃ ৪ , আন-নিসা , আয়াতঃ : ৮৫ | Whoever intercedes for a good cause will have a reward therefrom; and whoever intercedes for an evil cause will have a burden therefrom. And ever is Allah, over all things, a Keeper. | Surah 4 , An-Nisa , Verse: 85 |


ইসলামের দৃষ্টিতে, স্বামী-স্ত্রী সম্পর্ক এক অপরের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা, সহানুভূতি এবং সহযোগিতার ভিত্তিতে গড়ে তোলা হয়। পরিবার হলো সমাজের ভিত্তি, এবং স্বামী-স্ত্রী এই পরিবার কাঠামোর মূল স্তম্ভ। ইসলামে এই সম্পর্ককে একটি পবিত্র চুক্তি হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা আল্লাহর আদেশ এবং নৈতিক নীতির উপর প্রতিষ্ঠিত।

ইসলামের দৃষ্টিতে, স্বামী-স্ত্রী একে অপরকে সহায়তা এবং সম্মান প্রদর্শন করে, তাদের অধিকার এবং দায়িত্ব পালন করে একটি সুখী এবং শান্তিপূর্ণ পরিবার গঠন করতে উৎসাহিত হন। স্বামী-স্ত্রীর এই সম্পর্ক কেবল ব্যক্তিগত সুখের জন্য নয়, বরং একটি সুস্থ পারিবারিক ও সামাজিক পরিবেশ সৃষ্টির জন্যও অপরিহার্য। যদি স্বামী ও স্ত্রী তাদের দায়িত্বগুলো সঠিকভাবে পালন করেন, তাহলে পরিবারে শান্তি ও সমঝোতা বজায় থাকে, যা সমাজের কল্যাণে অবদান রাখে।

স্ত্রী-স্বামী সম্পর্কের মধ্যে সাহায্য ও সহযোগিতা, প্রেম ও মাধুর্য, এবং পরস্পরের অধিকার সম্মানের গুরুত্ব অপরিসীম। স্বামীকে স্ত্রীর প্রতি সহানুভূতি প্রদর্শন ও পারিবারিক কাজে সহায়তা প্রদান করা জরুরি, যা সম্পর্ককে মজবুত করে এবং স্ত্রীর সুখ ও শান্তি বৃদ্ধি করে। একইভাবে, স্বামী-স্ত্রীকে একে অপরের প্রতি প্রেম ও মাধুর্য প্রদর্শন করতে হবে, যা সম্পর্কের দৃঢ়তা ও পারিবারিক জীবনে সুখ এনে দেয়। পরস্পরের অধিকার সম্মান করা এবং পরিবারিক দায়িত্ব সুষ্ঠুভাবে পালন করা, সম্পর্কের ভারসাম্য বজায় রাখে এবং পরিবারে শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করে।


Related veses in Quran:


Source of translation : www.quran.com ; www.hadithbd.com ; www.banglatafheem.com


In the name of Allah, the Most Gracious, the Most Merciful
আল্লাহর নামে, যিনি পরম করুণাময়, পরম দয়ালু


Surah 24 | An-Nur | আন-নূর | Verse: 6 - 10

  • আর যারা নিজেদের স্ত্রীদের উপর অপবাদ দেয়, কিন্তু নিজেদের ছাড়া তাদের অন্য কোন সাক্ষী না থাকে, এ রকম প্রত্যেক লোকের সাক্ষ্য এভাবে হবে যে, সে চারবার আল্লাহর নামে শপথ করে বলবে যে, সে অবশ্যই সত্যবাদী ।
  • আর পঞ্চমবারে বলবে যে, সে যদি মিথ্যেবাদী হয় তবে তার উপর আল্লাহর লা’নত পতিত হবে।
  • আর স্ত্রীর শাস্তি রহিত হবে যদি সে চারবার আল্লাহ্‌র নামে শপথ করে সাক্ষ্য দেয় যে, নিশ্চয় তার স্বামীই মিথ্যাবাদী ।
  • এবং পঞ্চমবারে বলবে যে, তার স্বামী সত্যবাদী হলে তার নিজের উপর নেমে আসবে আল্লাহর গযব ।
  • তোমাদের প্রতি আল্লাহর অনুগ্রহ ও দয়া না থাকলে (তোমরা ধ্বংস হয়ে যেতে), আল্লাহ তাওবাহ গ্রহণকারী ও প্রজ্ঞাময় ।

  • And those who accuse their wives [of adultery] and have no witnesses except themselves - then the witness of one of them [shall be] four testimonies [swearing] by Allah that indeed, he is of the truthful.
  • And the fifth [oath will be] that the curse of Allah be upon him if he should be among the liars.
  • But it will prevent punishment from her if she gives four testimonies [swearing] by Allah that indeed, he is of the liars.
  • And the fifth [oath will be] that the wrath of Allah be upon her if he was of the truthful.
  • And if not for the favor of Allah upon you and His mercy... and because Allah is Accepting of repentance and Wise.

সূরা আর-রূম (৩০:২১):

  • আর তাঁর নিদর্শনাবলীর মধ্যে রয়েছে যে, তিনি তোমাদের জন্য তোমাদের থেকেই স্ত্রীদের সৃষ্টি করেছেন, যাতে তোমরা তাদের কাছে প্রশান্তি পাও। আর তিনি তোমাদের মধ্যে ভালবাসা ও দয়া সৃষ্টি করেছেন। নিশ্চয় এর মধ্যে নিদর্শনাবলী রয়েছে সে কওমের জন্য, যারা চিন্তা করে। - আল-বায়ান
  • তাঁর নিদর্শনের মধ্যে হল এই যে, তিনি তোমাদের জন্য তোমাদের মধ্য হতেই তোমাদের সঙ্গিণী সৃষ্টি করেছেন যাতে তোমরা তার কাছে শান্তি লাভ করতে পার আর তিনি তোমাদের মধ্যে পারস্পরিক ভালবাসা ও দয়া সৃষ্টি করেছেন। এর মাঝে অবশ্যই বহু নিদর্শন আছে সেই সম্প্রদায়ের জন্য যারা চিন্তা করে। - তাইসিরুল
  • এবং তাঁর নিদর্শনাবলীর মধ্যে রয়েছে যে, তিনি তোমাদের জন্য তোমাদের মধ্য হতে সৃষ্টি করেছেন তোমাদের সঙ্গিনীদেরকে যাতে তোমরা তাদের সাথে শান্তিতে বাস করতে পার এবং তিনি তোমাদের মধ্যে পারস্পরিক ভালবাসা ও দয়া সৃষ্টি করেছেন। চিন্তাশীল সম্প্রদায়ের জন্য এতে অবশ্যই বহু নিদর্শন রয়েছে। - মুজিবুর রহমান
  • And of His signs is that He created for you from yourselves mates that you may find tranquillity in them; and He placed between you affection and mercy. Indeed in that are signs for a people who give thought. - Sahih International

এই আয়াতে আল্লাহ আমাদের জন্য স্বামী-স্ত্রী সম্পর্কের গুরুত্ব ব্যাখ্যা করেছেন। আল্লাহ মানুষকে একটি বিশেষ উদ্দেশ্যে স্বামী-স্ত্রী হিসেবে জোড়া তৈরি করেছেন। এই সম্পর্কের মাধ্যমে তারা একে অপরের পাশে থেকে জীবনের সুখ-দুঃখ ভাগ করে নেন এবং শান্তি ও সান্ত্বনা লাভ করেন। এটি শুধুমাত্র বংশবিস্তারের জন্য নয়, বরং মানসিক ও অনুভূতিগত সমর্থনের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। আল্লাহ এই সম্পর্কের মধ্যে প্রেম এবং সহমর্মিতা সৃষ্টি করেছেন, যা স্বামী-স্ত্রীকে একে অপরের প্রতি সহানুভূতি ও স্নেহ প্রদর্শনে সাহায্য করে। এই প্রেম ও সহমর্মিতা পারিবারিক জীবনে শান্তি ও সুখের মূল উপাদান। আল্লাহ এই আয়াতে উল্লেখ করেছেন যে, এই সম্পর্ক একটি গুরুত্বপূর্ণ নিদর্শন যা চিন্তা-ভাবনা এবং আল্লাহর সৃষ্টির গভীরতা উপলব্ধি করার মাধ্যমে বোঝা যায়। এটি আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় যে, আল্লাহ এই সম্পর্কের মাধ্যমে আমাদের জীবনকে শান্তিপূর্ণ ও পরিপূর্ণ করতে সাহায্য করেছেন। তাই, আমাদের উচিত এই সম্পর্কের গুরুত্ব বুঝে সঠিকভাবে পালন করা।


সূরা আন-নিসা (৪:৩৪):।

  • পুরুষরা নারীদের তত্ত্বাবধায়ক, এ কারণে যে, আল্লাহ তাদের একের উপর অন্যকে শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছেন এবং যেহেতু তারা নিজদের সম্পদ থেকে ব্যয় করে। সুতরাং পুণ্যবতী নারীরা অনুগত, তারা লোকচক্ষুর অন্তরালে হিফাযাতকারিনী ঐ বিষয়ের যা আল্লাহ হিফাযাত করেছেনে। আর তোমরা যাদের অবাধ্যতার আশঙ্কা কর তাদেরকে সদুপদেশ দাও, বিছানায় তাদেরকে ত্যাগ কর এবং তাদেরকে (মৃদু) প্রহার কর। এরপর যদি তারা তোমাদের আনুগত্য করে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কোন পথ অনুসন্ধান করো না। নিশ্চয় আল্লাহ সমুন্নত মহান। - আল-বায়ান
  • পুরুষগণ নারীদের উপর কর্তৃত্বশীল এ কারণে যে, আল্লাহ তাদের এককে অন্যের উপর মর্যাদা প্রদান করেছেন, আর এজন্য যে, পুরুষেরা স্বীয় ধন-সম্পদ হতে ব্যয় করে। ফলে পুণ্যবান স্ত্রীরা (আল্লাহ ও স্বামীর প্রতি) অনুগতা থাকে এবং পুরুষের অনুপস্থিতিতে তারা তা (অর্থাৎ তাদের সতীত্ব ও স্বামীর সম্পদ) সংরক্ষণ করে যা আল্লাহ সংরক্ষণ করতে আদেশ দিয়েছেন। যদি তাদের মধ্যে অবাধ্যতার সম্ভাবনা দেখতে পাও, তাদেরকে সদুপদেশ দাও এবং তাদের সাথে শয্যা বন্ধ কর এবং তাদেরকে (সঙ্গতভাবে) প্রহার কর, অতঃপর যদি তারা তোমাদের অনুগত হয়, তাহলে তাদের উপর নির্যাতনের বাহানা খোঁজ করো না, নিশ্চয় আল্লাহ সর্বোচ্চ, সর্বশ্রেষ্ঠ। - তাইসিরুল
  • পুরুষেরা নারীদের উপর তত্ত্বাবধানকারী ও ভরণপোষণকারী, যেহেতু আল্লাহ তাদের মধ্যে একের উপর অপরকে বৈশিষ্ট্য দান করেছেন এবং এই হেতু যে, তারা স্বীয় ধন সম্পদ হতে তাদের জন্য ব্যয় করে থাকে; সুতরাং যে সমস্ত নারী পুণ্যবতী তারা আনুগত্য করে, আল্লাহর সংরক্ষিত প্রচ্ছন্ন বিষয় সংরক্ষণ করে; যদি নারীদের অবাধ্যতার আশংকা হয় তাহলে তাদেরকে সদুপদেশ প্রদান কর, তাদেরকে শয্যা হতে পৃথক কর এবং তাদেরকে প্রহার কর; অনন্তর যদি তারা তোমাদের অনুগত হয় তাহলে তাদের জন্য অন্য পন্থা অবলম্বন করনা; নিশ্চয়ই আল্লাহ সমুন্নত, মহা মহীয়ান। - মুজিবুর রহমান
  • Men are in charge of women by [right of] what Allah has given one over the other and what they spend [for maintenance] from their wealth. So righteous women are devoutly obedient, guarding in [the husband's] absence what Allah would have them guard. But those [wives] from whom you fear arrogance - [first] advise them; [then if they persist], forsake them in bed; and [finally], strike them. But if they obey you [once more], seek no means against them. Indeed, Allah is ever Exalted and Grand. - Sahih International

এই আয়াতটি স্বামী-স্ত্রী সম্পর্কের ব্যবস্থাপনার মধ্যে পুরুষের কর্তৃত্ব ও নারী-পুরুষের দায়িত্ববিভাজনের বিষয়ে আল্লাহর নির্দেশনা প্রদান করে। আল্লাহ পুরুষদের নারীদের তুলনায় কিছু মর্যাদা দিয়েছেন এবং তাদেরকে সংসারের আর্থিক দায়িত্ব পালন করার ক্ষমতা প্রদান করেছেন। এই কারণে পুরুষদের কর্তৃত্ব দেওয়া হয়েছে, যা তাদের ধন-সম্পদ ব্যয়ের মাধ্যমে সংসারের স্থিতিশীলতা ও দায়িত্বশীলতার নির্দেশনা প্রদান করে। পুণ্যবান স্ত্রীরা আল্লাহ ও স্বামীর প্রতি আনুগত্য প্রদর্শন করে এবং স্বামীর অনুপস্থিতিতে তাদের সতীত্ব ও সম্পদ সংরক্ষণ করে।

যদি স্ত্রীর মধ্যে অবাধ্যতার লক্ষণ দেখা যায়, স্বামীর উচিত তাদের সদুপদেশ দেওয়া। এটি স্ত্রীর ভুল বোঝা দূর করার প্রচেষ্টা হিসেবে দেখা হয়। যদি এই পদক্ষেপ কার্যকর না হয়, তবে স্ত্রীর সাথে শয্যা আলাদা করার নির্দেশ রয়েছে, যা সম্পর্কের অস্থিরতা কমানোর চেষ্টা হিসেবে বিবেচিত।

যদি স্ত্রী স্বামীর প্রতি ফিরে না আসে, তাহলে প্রহার করার অনুমতি থাকলেও, এটি কেবলমাত্র খুবই সীমিত এবং নিয়ন্ত্রিত হওয়া উচিত। স্ত্রীর প্রতি অত্যাচারের কোনো অনুমোদন নেই। যদি স্ত্রী স্বামীর প্রতি ফিরে আসে, তবে নির্যাতনের জন্য কোনো বাহানা খোঁজার প্রয়োজন নেই। আল্লাহ সর্বশ্রেষ্ঠ ও সর্বজ্ঞ, এবং এই নির্দেশনাগুলি পারিবারিক জীবনে ভারসাম্য এবং সঠিক ব্যবস্থাপনার গুরুত্ব তুলে ধরে। আল্লাহ আমাদের অনুগত্য, সম্মান, এবং দায়িত্ববোধের গুরুত্ব বুঝিয়েছেন এবং সম্পর্ক পরিচালনার সঠিক পদ্ধতি প্রদর্শন করেছেন।


Surah 33 | Al-Ahzab | আল-আহযাব | Verse: 4 - 5

  • আল্লাহ কোন মানুষের অভ্যন্তরে দু’টি হৃদয় সৃষ্টি করেননি ; তোমাদের স্ত্রীরা , যাদের সাথে তোমরা যিহার করে থাক , তাদেরকে আল্লাহ তোমাদের জননী করেননি এবং তোমাদের পোষ্যপুত্রকে তিনি (আল্লাহ) তোমাদের প্রকৃত পুত্র করেননি ; ঐগুলি তোমাদের মুখের কথা । আল্লাহ সত্য কথাই বলেন এবং তিনিই সরল পথ নির্দেশ করেন । [ স্ত্রীকে মায়ের পিঠের সাথে তুলনা করা, ‘তুমি আমার কাছে আমার মায়ের পিঠের ন্যায়’ বলাকেই যিহার বলে ]
  • তোমরা তাদেরকে তাদের পিতৃ-পরিচয়ে ডাক ; আল্লাহর কাছে এটাই অধিক ইনসাফপূর্ণ । অতঃপর যদি তোমরা তাদের পিতৃ-পরিচয় না জান , তাহলে তারা তোমাদের দীনি ভাই এবং তোমাদের বন্ধু । আর এ বিষয়ে তোমরা কোন ভুল করলে তোমাদের কোন পাপ নেই ; কিন্তু তোমাদের অন্তরে সংকল্প থাকলে অপরাধ হবে । আল্লাহ অতি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু ।

  • Allah has not made for a man two hearts in his interior. And He has not made your wives whom you declare unlawful your mothers. And he has not made your adopted sons your [true] sons. That is [merely] your saying by your mouths, but Allah says the truth, and He guides to the [right] way.
  • Call them by [the names of] their fathers; it is more just in the sight of Allah. But if you do not know their fathers - then they are [still] your brothers in religion and those entrusted to you. And there is no blame upon you for that in which you have erred but [only for] what your hearts intended. And ever is Allah Forgiving and Merciful.

Surah 33 | Al-Ahzab | আল-আহযাব | Verse: 35

  • নিশ্চয় মুসলিম পুরুষ ও মুসলিম নারী , মুমিন পুরুষ ও মুমিন নারী , অনুগত পুরুষ ও অনুগত নারী , সত্যবাদী পুরুষ ও সত্যবাদী নারী , ধৈর্যশীল পুরুষ ও ধৈর্যশীল নারী , বিনীত পুরুষ ও বিনীত নারী , দানশীল পুরুষ ও দানশীল নারী , রোযা পালনকারী পুরুষ ও রোযা পালনকারী নারী , যৌনাঙ্গ হিফাযতকারী পুরুষ ও যৌনাঙ্গ হিফাযতকারী নারী, আল্লাহ্‌কে অধিক স্মরণকারী পুরুষ ও আল্লাহ্‌কে অধিক স্মরণকারী নারী—তাদের জন্য আল্লাহ রেখেছেন ক্ষমা ও মহাপ্রতিদান ।
  • Indeed, the Muslim men and Muslim women, the believing men and believing women, the obedient men and obedient women, the truthful men and truthful women, the patient men and patient women, the humble men and humble women, the charitable men and charitable women, the fasting men and fasting women, the men who guard their private parts and the women who do so, and the men who remember Allah often and the women who do so - for them Allah has prepared forgiveness and a great reward.

Surah 42 | Ash-Shura | আশ-শূরা | Verse: 11 - 12

  • তিনি আসমানসমূহ ও যমীনের সৃষ্টিকর্তা , তিনি তোমাদের মধ্য থেকে তোমাদের জোড়া সৃষ্টি করেছেন এবং চতুস্পদ জন্তুর মধ্য থেকে সৃষ্টি করেছেন জোড়া । এভাবে তিনি তোমাদের বংশ বিস্তার করেন ; কোন কিছুই তাঁর সদৃশ নয় , তিনি সর্বশ্রোতা , সর্বদ্রষ্টা ।
  • তাঁরই কাছে আসমানসমূহ ও যমীনের চাবিকাঠি । তিনি যার জন্যে ইচ্ছে তাঁর রিযিক বাড়িয়ে দেন এবং (যার জন্য ইচ্ছে) সীমিত করেন । নিশ্চয়ই তিনি সর্ববিষয়ে সবিশেষ অবহিত ।

  • [He is] Creator of the heavens and the earth. He has made for you from yourselves, mates, and among the cattle, mates; He multiplies you thereby. There is nothing like unto Him, and He is the Hearing, the Seeing.
  • To Him belong the keys of the heavens and the earth. He extends provision for whom He wills and restricts [it]. Indeed He is, of all things, Knowing.

Surah 42 | Ash-Shura | আশ-শূরা | Verse: 44 - 47

  • আল্লাহ কাউকেও পথভ্রষ্ট করলে তার জন্য তিনি ব্যতীত কোন অভিভাবক নেই । আর সীমালংঘনকারীরা যখন শাস্তি প্রত্যক্ষ করবে , তখন আপনি তাদেরকে বলতে শুনবেন, ফিরে যাওয়ার কোন উপায় আছে কি ?
  • আর আপনি তাদেরকে দেখতে পাবেন যে, তাদেরকে (জাহান্নামের সামনে) উপস্থিত করা হচ্ছে, লাঞ্ছিত ও অপমানিত অবস্থায় ; তারা অপমানে অবনত অবস্থায় আড় চোখে তাকাচ্ছে । আর যারা ঈমান এনেছে তারা বলবে , সত্যিকার ক্ষতিগ্রস্ত তো তারাই যারা ক্বিয়ামতের দিনে নিজেদেরকে এবং নিজেদের পরিবার-পরিজনকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে । জেনে রেখো , সীমালংঘনকারীরা অবশ্যই স্থায়ী শাস্তি ভোগ করবে ।
  • আল্লাহর শাস্তির বিরুদ্ধে তাদেরকে সাহায্য করার জন্য তাদের কোন অভিভাবক থাকবে না । আর আল্লাহ যাকে পথভ্রষ্ট করেন তার কোন পথ নেই ।
  • তোমরা তোমাদের রবের ডাকে সাড়া দাও আল্লাহর পক্ষ থেকে সে দিন আসার আগে, যা অপ্রতিরোধ্য; যেদিন তোমাদের কোন আশ্রয়স্থল থাকবে না , আর না (তোমাদের পাপ) অস্বীকার করার সুযোগ থাকবে ।

  • And he whom Allah sends astray - for him there is no protector beyond Him. And you will see the wrongdoers, when they see the punishment, saying, "Is there for return [to the former world] any way?"
  • And you will see them being exposed to the Fire, humbled from humiliation, looking from [behind] a covert glance. And those who had believed will say, "Indeed, the [true] losers are the ones who lost themselves and their families on the Day of Resurrection. Unquestionably, the wrongdoers are in an enduring punishment.
    • And there will not be for them any allies to aid them other than Allah. And whoever Allah sends astray - for him there is no way.
  • Respond to your Lord before a Day comes from Allah of which there is no repelling. No refuge will you have that day, nor for you will there be any denial.

Surah 42 | Ash-Shura | আশ-শূরা | Verse: 49 - 50

  • আসমানসমূহ ও যমীনের আধিপত্য আল্লাহরই । তিনি যা ইচ্ছে তা-ই সৃষ্টি করেন । তিনি যাকে ইচ্ছে কন্যা সন্তান দান করেন এবং যাকে ইচ্ছে পুত্র সন্তান দান করেন ।
  • অথবা দান করেন পুত্র-কন্যা উভয়ই এবং যাকে ইচ্ছা তাকে বন্ধ্যা করে দেন । নিশ্চয়ই তিনি সর্বজ্ঞ সর্বশক্তিমান ।

  • To Allah belongs the dominion of the heavens and the earth; He creates what he wills. He gives to whom He wills female [children], and He gives to whom He wills males.
  • Or He makes them [both] males and females, and He renders whom He wills barren. Indeed, He is Knowing and Competent.

Surah 43 | Az-Zukhruf | আয-যুখরুফ | Verse: 10 - 13

  • (আল্লাহ), যিনি তোমাদের জন্য যমীনকে করেছেন বিস্তৃত , আর তাতে তোমাদের জন্য বানিয়েছেন চলার পথ - যাতে তোমরা সঠিক পথ পেতে পার ।
  • আর যিনি আসমান থেকে পরিমিতভাবে পানি বর্ষণ করেন । অতঃপর আমি তা দ্বারা মৃত জনপদকে সঞ্জীবিত করি । এভাবেই তোমাদেরকে পুনরুত্থিত করা হবে ।
  • আর যিনি সকল প্রকারের জোড়া যুগল সৃষ্টি করেছেন এবং যিনি তোমাদের জন্য সৃষ্টি করেছেন এমন নৌযান ও গৃহপালিত জন্তু যাতে তোমরা আরোহণ কর ;
  • যাতে তোমরা এর পিঠে স্থির হয়ে বসতে পার , তারপর তোমাদের রবের অনুগ্রহ স্মরণ করবে যখন তোমরা এর উপর স্থির হয়ে বসবে; এবং বলবে , পবিত্ৰ-মহান তিনি, যিনি এগুলোকে আমাদের বশীভূত করে দিয়েছেন । আর আমরা সমর্থ ছিলাম না , এদেরকে বশীভূত করতে ।

  • [The one] , Allah, who has made for you the earth a bed and made for you upon it roads that you might be guided
  • And who sends down rain from the sky in measured amounts, and We revive thereby a dead land - thus will you be brought forth -
  • And who created the species, all of them, and has made for you of ships and animals those which you mount.
  • That you may settle yourselves upon their backs and then remember the favor of your Lord when you have settled upon them and say. "Exalted is He who has subjected this to us, and we could not have [otherwise] subdued it.

Surah 58 | Al-Mujadila | আল-মুজাদালা | Verse: 22

  • আপনি পাবেননা আল্লাহ ও আখিরাতের উপর ঈমানদার এমন কোন সম্প্রদায়, যারা ভালবাসে তাদেরকে যারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের বিরুদ্ধাচারণ করে—হোক না এ বিরুদ্ধাচারীরা তাদের পিতা, পুত্ৰ, ভাই অথবা এদের জ্ঞাতি-গোত্র। এদের অন্তরে আল্লাহ লিখে দিয়েছেন ঈমান এবং তাদেরকে শক্তিশালী করেছেন তাঁর পক্ষ থেকে রূহ দ্বারা। আর তিনি তাদেরকে প্রবেশ করাবেন এমন জান্নাতে, যার পাদদেশে নদীসমূহ প্রবাহিত; সেখানে তারা স্থায়ী হবে; আল্লাহ্‌ তাদের প্রতি সন্তুষ্ট হয়েছেন এবং তারাও তাঁর প্রতি সন্তুষ্ট। তারাই আল্লাহ্‌র দল। জেনে রাখ, নিশ্চয় আল্লাহ্‌র দলই সফলকাম।
  • You will not find a people who believe in Allah and the Last Day having affection for those who oppose Allah and His Messenger, even if they were their fathers or their sons or their brothers or their kindred. Those - He has decreed within their hearts faith and supported them with spirit from Him. And We will admit them to gardens beneath which rivers flow, wherein they abide eternally. Allah is pleased with them, and they are pleased with Him - those are the party of Allah. Unquestionably, the party of Allah - they are the successful

Surah 60 | Al-Mumtahina | আল-মুমতাহিনা | Verse: 3 - 4

  • তোমাদের আত্মীয়-স্বজন ও সন্তান-সন্ততি কিয়ামতের দিন কোন উপকার করতে পারবে না। আল্লাহ তোমাদের মধ্যে ফয়সালা করে দেবেন; আর তোমরা যা কর আল্লাহ তার সম্যক দ্রষ্টা।
  • অবশ্যই তোমাদের জন্য ইব্রাহীম ও তার অনুসারীদের মধ্যে রয়েছে উত্তম আদর্শ। যখন তারা তাদের সম্প্রদায়কে বলেছিল, “তোমাদের সঙ্গে এবং তোমরা আল্লাহর পরিবর্তে যার ইবাদত কর তা হতে আমরা সম্পৰ্কমুক্ত। আমরা তোমাদেরকে অস্বীকার করি। তোমাদের ও আমাদের মধ্যে সৃষ্টি হল শক্ৰতা ও বিদ্বেষ চিরকালের জন্য; যতক্ষণ না তোমরা এক আল্লাহতে ঈমান আন। তবে ব্যতিক্রম তাঁর পিতার প্রতি ইবরাহীমের উক্তিঃ আমি অবশ্যই তোমার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করব; আর তোমার ব্যাপারে আল্লাহর কাছে আমি কোন অধিকার রাখি না। ইবরাহীম ও তার অনুসারীগণ বলেছিল, হে আমাদের রব! আমরা আপনারই উপর নির্ভর করেছি, আপনারই অভিমুখী হয়েছি এবং ফিরে যাওয়া তো আপনারই কাছে।

  • Never will your relatives or your children benefit you; the Day of Resurrection He will judge between you. And Allah, of what you do, is Seeing.
  • There has already been for you an excellent pattern in Abraham and those with him, when they said to their people, "Indeed, we are disassociated from you and from whatever you worship other than Allah. We have denied you, and there has appeared between us and you animosity and hatred forever until you believe in Allah alone" except for the saying of Abraham to his father, "I will surely ask forgiveness for you, but I have not [power to do] for you anything against Allah. Our Lord, upon You we have relied, and to You we have returned, and to You is the destination.

Surah 64 | At-Taghabun | আত-তাগাবুন | Verse: 14

  • হে ঈমানদারগণ ! তোমাদের স্ত্রী-স্বামী ও সন্তান-সন্ততিদের মধ্যে কেউ কেউ তোমাদের শত্রু ; অতএব তাদের সম্পর্কে তোমরা সতর্ক থেকো । আর যদি তোমরা তাদেরকে মার্জনা কর , তাদের দোষ-ত্রুটি উপেক্ষা কর এবং তাদেরকে ক্ষমা কর , তবে নিশ্চয় আল্লাহ্ ক্ষমাশীল , পরম দয়ালু ।

  • O you who have believed, indeed, among your wives and your children are enemies to you, so beware of them . But if you pardon and overlook and forgive - then indeed , Allah is Forgiving and Merciful .

Surah 66 | At-Tahrim | আত-তাহরীম | Verse: 6

  • হে ঈমানদারগণ, তোমরা নিজেদেরকে ও তোমাদের পরিবার-পরিজনকে আগুন হতে বাঁচাও যার জ্বালানি হবে মানুষ ও পাথর ; যেখানে রয়েছে নির্মম ও কঠোর ফেরেশতাকূল , আল্লাহ তাদেরকে যে নির্দেশ দিয়েছেন তারা সে ব্যাপারে তার অবাধ্য হয় না । আর তারা তা-ই করে যা তাদেরকে আদেশ করা হয় ।
  • O you who have believed, protect yourselves and your families from a Fire whose fuel is people and stones, over which are [appointed] angels, harsh and severe; they do not disobey Allah in what He commands them but do what they are commanded.

Surah 78 | An-Naba' | আন-নাবা | Verse: 6 - 16

  • আমরা কি পৃথিবীকে শয্যা (স্বরূপ) সৃষ্টি করিনি ?
  • আর পর্বতসমূহকে পেরেক ?
  • আর আমরা সৃষ্টি করেছি তোমাদেরকে জোড়ায় জোড়ায় ,
  • আর তোমাদের নিদ্রাকে করে দিয়েছি বিশ্রাম স্বরূপ ।
  • আর রাত্রিকে করেছি আবরণ স্বরূপ ।
  • আর করেছি দিনকে জীবিকা আহরণের জন্য (উপযোগী)
  • আর আমরা নির্মাণ করেছি তোমাদের উপরে সুদৃঢ় সপ্ত আকাশ ।
  • আর আমরা সৃষ্টি করেছি উজ্জ্বল একটি প্রদীপ (সূর্য) ।
  • আর আমরা বর্ষণ করেছি মেঘমালা হতে প্রচুর পানি ।
  • যাতে তা দ্বারা আমরা উৎপন্ন করি শস্য , উদ্ভিদ ।
  • এবং ঘন সন্নিবিষ্ট উদ্যানসমূহ ।

  • Have We not made the earth a resting place ?
  • And the mountains as stakes?
  • And We created you in pairs
  • And made your sleep [a means for] rest
  • And made the night as clothing
  • And made the day for livelihood
  • And constructed above you seven strong [heavens]
  • And made [therein] a burning lamp
  • And sent down, from the rain clouds, pouring water
  • That We may bring forth thereby grain and vegetation
  • And gardens of entwined growth.

Surah 80 | Abasa | Verse: 33 - 42

  • অতঃপর যখন (কিয়ামতের) ধ্বংস-ধ্বনি [বিকট আওয়াজ] এসে পড়বে ।
  • সেদিন মানুষ পালিয়ে যাবে তার ভাইয়ের কাছ থেকে ,
  • এবং তার মাতা ও তার পিতা হতে ,
  • তার স্ত্রী ও তার সন্তান-সন্ততি থেকে ।
  • সেদিন তাদের প্রত্যেকের হবে এমন গুরুতর অবস্থা যা তাকে সম্পূর্ণরূপে ব্যস্ত রাখবে ।
  • অনেক চেহারা সেদিন হবে উজ্জ্বল ,
  • সহাস্য ও প্রফুল্ল ,
  • আর অনেক চেহারা সেদিন হবে ধূলিধূসর ।
  • কালিমা সেগুলোকে আচ্ছন্ন করবে ।
  • তারাই আল্লাহকে প্রত্যাখ্যানকারী (কাফির), পাপাচারী ।

  • But when there comes the Deafening Blast
  • On the Day a man will flee from his brother
  • And his mother and his father
  • And his wife and his children,
  • For every man, that Day, will be a matter adequate for him.
  • [Some] faces, that Day, will be bright -
  • Laughing, rejoicing at good news.
  • And [other] faces, that Day, will have upon them dust.
  • Blackness will cover them.
  • Those are the disbelievers, the wicked ones.

continue.....